Monday, March 20, 2017

সাতক্ষীরার দেবহাটায় জলাশয়ের পাশে পাইলিং বসিয়ে রাস্তা সংস্কারের দাবি এলাকাবাসির



এস.কে কামরুল হাসান, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ঃ জলাশয় সংলগ্ন রাস্তার দু’পাশে পাইলিং না করে রাস্তা সংস্কারের প্রতিবাদ জানিয়েছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের জনগন। তারা দরপত্র সংশোধন করে বাস্তবতার ভিত্তিতে এ রাস্তা সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা জেলা শাখার নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেবহাটা উপজেলা উপসহকারি প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাতশালা গ্রামের রুমানা খাতুনের গরুর খাটাল থেকে ভাতশালা উত্তর পাড়া মহব্বতের বাড়ির মোড় পর্যন্ত দু’ কিলোমিটার ১০০ মিটার রাস্তা ছয় ফুটের স্থলে ১৬ ফুট করে বাড়ানো ও পাকা (পিচ) করার জন্য গত বছরের ২রা মে দরপত্র আহবান করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার মেসার্স শফি এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি সাত লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকায় এক কাজ করার জন্য ওই বছরের ১৮ই মে কার্যাদেশ দেয়া হয়। তবে নির্ধারিত রাস্তার দু’পাশে প্রায় ৩০০ মিটার পুকুর ও জলাশয় থাকলেও সেখানে কোন পাইলিং করার কথা দরপত্রে উল্যেখ করা হয়নি। সরেজমিনে রোববার বিকেলে ভাতশালা গ্রামে যেয়ে দেখা গেছে ওই গ্রামের বিশ্বাস বাড়ির মোড় থেকে উত্তরপাড়া মহব্বত আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৪০০ মিটার রাস্তার মধ্যে ৩০০ মিটার রাস্তার কোথাও এক পাশে আবার কোথাও দু’পাশে সরোয়ারের ঘের, নূর হোসেন, কাদিবিবি, আবু সাঈদ, হাকিম বিশ্বাস, খালেক বিশ্বাস ও বিশ্বাস বাড়ি জামে মসজিদের পুকুর রয়েছে। পুকুর বা চিংড়ি ঘেরের পাশ দিয়ে রাস্তা সংস্কার করতে হলে পাইলিং ছাড়া করা সম্ভব নয় বলে জানান ভাতশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজগার আলী, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, ব্যবসায়ি জিয়াউর রহমান, আনছার আলী, আব্দুর জব্বার মল্লিক। তারা জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত রুমানা খাতুনের গরুর খাটালের পাশ থেকে বিশ্বাস বাড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ১৬ ফুট প্রশস্ত করে বক্স কেটে, বালি ও খোয়া ফেলে ড্রেসিং এর কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার।  ১৬ মার্চ তিনি বিশ্বাস বাড়ির মোড় থেকে মহব্বত আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ করার জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পুকুর ও চিংড়ি ঘের সংলগ্ন জনস্বার্থে ব্যবহৃত রাস্তা সংস্কার বা বাড়ানোর কাজ পাইলিং ছাড়া করা যাবেনা বলায় তিনি গ্রামবাসির সঙ্গে সহমত পোষণ করে কাজ বন্ধ রেখেছেন। দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর গাজী জানান, ভাতশালা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। এখানে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার ও একটি বিজিবি ক্যাম্প। সেই হিসেবে বিশ্বাস বাড়ির মোড় থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত মজবুত রাস্তার অবশ্যই দরকার রয়েছে। যদিও উপসহকারি প্রকৌশলী সেলিম রেজা রাস্তা সংস্কারের আগে বাস্তবতা অনুযায়ী সবকিছু যাঁচাই না করেই দরপত্র আহবান করেছেন বলে তার মনে হয়েছে। কারণ ভারী যান বাহন চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা পাকা করণের আগে জলাশয় সংলগ্ন রাস্তার পাশে পাইলিং এর কোন বিকল্প নেই। পাইলিং ছাড়া রাস্তার উপর রোলার মেশিন চালালে রাস্তার বর্ধিত অংশ ও রোলার উভয়ই চলে যেতে পারে পুকুরের মধ্যে। তাই বরাদ্দ টাকা নষ্ট না করে দরপত্র পূর্ণমুল্যায়ন করে কাজ শুরুর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলবেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শফি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শফিউর রহমান জানান, জনস্বার্থে পাইলিং ছাড়া প্রায় ৩০০ মিটার রাসস্তার সংস্কার ও বাড়ানোর কাজ করা যাবে না মর্মে তিনি উপ-সহ প্রকৌশলী সেলিম রেজাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম হলে রাস্তাা ভেঙে যেয়ে বরাদ্দের মোটা অংকের টাকা নষ্ট হবে। এতে তিনি তার সুনাম নষ্টের পাশপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ  হবেন বলে জানান। স্থানীয় সরকার প্রশাসন অধিদপ্তরের দেবহাটা শাখার উপপ্রকৌশলী সেলিম রেজার কাছে সোমবার দুপুর সোয়া দুটোর সময় তার ০১৭১৬-৭৭৯০২৬ নং মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ করেননি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী বিজন কুমার কর্মকার জানান, তিনি মায়ের বার্ষিক মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে গেছেন। সরেজমিনে ভাতশালায় যেয়ে পাইলিং এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবেন।


এস. কে কামরুল হাসান
জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা।
০১৭২৯৫৭৭৪১৬
২০.০৩.১৭






Saturday, March 11, 2017

সাতক্ষীরার সড়কগুলো এখন মৃত্যুকূপ জোড়াতালি দিয়েই দায়সারা প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা !



এস.কে কামরুল হাসান, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা শহর এখন মানুষের চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে ইঠেছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা। ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের পর থেকেই সাতক্ষীরা প্রধান সড়কগুলোর কোন কাজ হয়নি এবং তেমন কোন উন্নয়নের ছোয়াও লাগেনি। তারই একটি প্রামান্য চিত্র শহরের প্রধান সড়ক। সাতক্ষীরার সড়কগুলো কোন রকম জোড়া তালি দিয়েই দায় সারার মত কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বর্তমান সড়কগুলো চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ও মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে। যে কো সময়েই ঝরে যেতে পারে তাজা প্রান। অনিশ্চয়তা জেনেও জীবনের ঝুকি নিয়ে জীবন ধারনের তাগিদে রাস্তায় চলাচল করছেন সাতক্ষীরার অসহায় কর্মজীবী মানুষ। ভাংড়ি রাস্তায় দুইদিন আগেও অতিরিক্ত ধুলোর কারনে চলাচল ছিলো দূর্বীসহ। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই পাল্টে গেলো সাতক্ষীরার রাস্তাঘাটের চিত্র। ধুলোর আর কাদার শহরে অভিভাবকহীন নারকীয় জীবনযাপন করছেন সাতক্ষীরা বাসি। শহরের রাস্তঘাটের বেহাল দশাই এর জন্য দায়ী করেছেন জেলার হাইব্রিড নেতা ও প্রশাসনের কিছু উর্দ্ধর্তন কর্মকর্তাদের। সাতক্ষীরার সাধারন মানুষের প্রশ্ন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ও সাতক্ষরীরা বাইপাস সড়কের প্রতি¯্রুতি অনুযায়ী আমরা আশাবাদি হলেও বছরের পর বছর চলে গেলেও বাইপাস সড়কের কোন দেখা নেই, নেই কোন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। এজন্যই বেশির ভাগে দ¦ায়ী করেছেন সাতক্ষীরা জেলার কিছু দূর্ণীতিবাজ নেতাদেরকে। কারন, নেতাদের ভাগ্যের পরিবর্তন এসেছে কিন্তু পরিবর্তন আসেনি সাধারন মানুষের ভাগ্যের।  শহরের প্রায় সবগুলো রা¯তার পিচ উঠে যাওয়ার কারনেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সড়কের সংস্কার না হওয়ায় শহরবাসীর দূর্ভোগের অন্ত নেই। সড়কের পিচ উঠে নিচের মাটি পর্যন্ত বেরিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দ। শহরের সার্কিট হাউজ মোড় থেকে বাঁকাল বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য বলে মনে করেন ভুক্তভোগী পথচারিরা। সড়ক দূর্ঘটনা সাতক্ষীরার রাস্তায় একটি অহরহ ঘটনা হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে। সাতক্সীরার স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় এ খবর ছাপালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন রাস্তা আরও খুড়ে যবু থবু করে আদলা (১/২) ইট দিয়ে সেই গর্ত ভরাট করে চলে যায়। বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের রাস্তায় বাস ট্রাক তো দূরের কথা হেটে চলাচল করাও চরম বিপদজনক হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ২য় বৃহৎ স্থল বন্দর ভোমরা স্থল স্থল বন্দর এই সাতক্ষীরাতেই অবস্থিত।  সরকারী রাজস্বে সাতক্ষীরা অগ্রনী ভুমিকা পালন করলেও কারও দৃষ্টি নেই সাতক্ষীরা শহরের প্রতি। স্বরেজমিনে আরও দেখা যায় সাতক্ষীরা পৌর এলাকা সহ সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। অত্যন্ত লাজুক এই পরিস্থিতির মধ্যে অসহায় দূর্বীসহ জীবন যাপন করছে সাতক্ষীরা বাসি। ধূলাবালি আর ময়লার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। বিশেষ করে যারা হাফানী ও এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত তাদের বাইরে বের হওয়ার উপাই নেই । ফলে লাভবান হচ্ছে ডাক্তার আর ঠিকাদার অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ। রাস্তার ছাল চামড়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারন পথচারিরা ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, বড় বড় মাপের নেতারা তো পাজেরু জীপে চড়ে তারা রাস্তা খারাপ কি ভালো কিভাবে বুঝবেন। নির্বাচনের আগে ভোট চাওয়ার উদ্দেশ্যে ও রাস্তার কোথায় কি অবস্থায় আছে তা থেকে বড় কোন বাজেট ধরে নিজের আখের গোছানো যায় কি না সেই পরিকল্পনা আটতেই রাস্তায় নামেন সাতক্ষীরার বড় মাপের নেতারা। ধূলায় অন্ধকার হয়ে যায়  যখন কোন বাস, ট্রাক রাস্তায় চলাচল করে। ধূলায় যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন, তখন ্দুইহাত দূরের কিছইু দেখা যায়না। যখন ভোমরা থেকে পন্য বোঝাই ট্রাকগুলো চলাচল করে তখন রাস্তার এক সাইডে নিরাপদ স্থানে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয় ভয়ে। নাহয় কখন ঘাড়ের উপরে পড়ে ঐ পন্য বোঝাই ট্রাক। ডানে বায়ে দোল খেতে খেতে চলে বাস-ট্রাকগুলো। দেখলে মনে হয় এই বুঝি ঘটে গেলো আরও একটি দূর্ঘটনা। অভিভাবকরা সন্তানদের  নিশ্চিন্তে স্কুলে পাঠাতে পারেননা। সন্তানরা স্কুলে গেলে মা-বাবাদের চিন্তার সীমা থাকে না। শহরের রাস্তাঘাটের এই দশার জন্য পথচারীরা দ্বায়ী করেন সড়ক বিভাগের উর্দ্ধর্তন কর্মকর্তা, কর্মচারি, ঠিকাদার, নেতা ও কিছু হলুদ সাংবাদিকদের। তাদের অপকর্মের কারনেই নতুন রাস্তা তৈরির কয়েক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে সাতক্ষীরা শহরের রাস্তাঘাটগুলো।

এস.কে কামরুল হাসান
জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা।
০১৭২৯৫৭৭৪১৬
১১.০৩.১৭

Monday, March 6, 2017

দুর্নীতি দমন কমিশন সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন



মাজহারুল ইসলাম : সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। দুদক/গবে:/পুনর্গঠন/৩/২০১৭/৫৮৮৭(৩০) দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকা’র স্মারক নং মোতাবেক ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৭ (ছ) ধারায় নির্ধারিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য ১৭ (ট) এর বিধান অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কমিশন কর্তৃক ‘সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা তুফান ডেল্টাল ক্লিনিকে ডা. আবুল কালাম বাবলা’র চেম্বারে পুনর্গঠিত এ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচিতি সভায় আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণ-সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। পুনর্গঠিত এ কমিটির মেয়াদকাল হবে ৩ বছর।
পুনর্গঠিত সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সহ সভাপতি অধ্যাপক শেখ আবদুল ওয়াদুদ, মুরশিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সদস্য যথাক্রমে ক্যাপ্টেন মো. এছহাক আলী, মো. আব্দুর রব ওয়ার্ছী, ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, মো. আনিছুর রহমান, তাহমিনা ইসলাম, মরিয়ম মান্নান, জি.এম শফিউল আলম, মো. আব্দুর রহমান ও রেবেকা সুলতানা।


মাজহারুল ইসলাম
ফটো সাংবাদিক, সাতক্ষীরা।
০১৯৭৭৬৯৬৯০১
০৬.০৩.১৭





Thursday, March 2, 2017

১৬ মার্চ সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা ৫ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাণোর নোটিশ




এস.কে কামরুল হাসান, সাতক্ষীরা ঃ জ্যেষ্ট আইনজীবীদের সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে প্রার্থীদের বয়সসীমা নির্ধারণ না থাকলেও  নির্বাচন কমিশনার তা না মানা ও আইনজীবী সমিতির সভাপতির একক সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশন গঠণ করার ঘটনায় আগামি ১৬ মার্চ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর সহকারি জজ আদালতে মঙ্গলবার এ মামলা দায়ের করেন। বুধবার শুনানী শেষে বিচারক এম এ সাঈদ বিবাদীদের আগামি পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে,১৮৭২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতিতে যে সমস্ত গঠণতন্ত্র রচিত হয়েছে তাতে সমিতির যে কোন পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক কোন প্রার্থীর বয়স সীমা নির্ধারিত ছিল না। ২০১৩ সালে অ্যাড. শাহ আলম সভাপতি হওয়ার পর সভাপতি পদের জন্য প্রাক্টিসের মেয়াদ ২৫, সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২০, সাধারন সদস্য পদের জন্য তিন বছর ও ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বাকি ছয়টি পদের জন্য ১০ বছর করে প্রাক্টিসের মেয়াদ নির্ধারণ করে দেন। ২০১৬ সালে অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সভাপতি পদে প্রাক্টিসের মেয়াদ ২০ বছর ও সাধারণ সম্পাদকের প্রাক্টিসের মেয়াদ ১৫ বছর করলেও অবশিষ্ট পদে নির্বাচনের জন্য বয়সসীমা তুলে দেন। অ্যাড. নুরুল আমিন বলেন, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের নেতৃত্বাধীন কমিটির আট সদস্য গত ১৬ জানুয়ারি  মাসে এক নোটিশে আগামি ২০ ফ্রেব্রæয়ারি আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনের তারিখ উল্লেখ করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করে। সভাপতিকে বাদ দিয়েই সভা ডেকে এ তপশীল ঘোষণা অবৈধ ঘোষণা করে পাঁচজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব পালন না করার জন্য পৃথক পৃথকভাবে চিঠি দেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২)। পরবর্তীতে তিনি ১৪ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণা করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করার একপর্যায়ে সমিতির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দু’ শতাধিক আইনজীবী গণসাক্ষর করে তলবী সভা আহবানের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেন। সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম তলবী সভা সম্পর্কিত আইনজীবীদের গণস¦াক্ষর ৩১ জানুয়ারি সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদের (২) কাছে জমা দেন। একই দিনে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আটজন সদস্য তোজামের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। সভাপতি ৫ ফেব্রæয়ারি তলবী সভা আহবান করেন। ওইদিন সভা ডেকে সভাপতি তলবী সভা গঠণতন্ত্র বিরোধী বলে তা (প্রসপণ্ড) বাতিল ঘোষণা করেন। যদিও কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ট হওয়া গ্রæপটি তলবী সভা বাতিলের জন্য বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে আদালত চত্বরে মজুদ রাখে বলে অভিযোগ ওঠে। ৮ ফেব্রæয়ারি ২০ জন জ্যেষ্ট আইনজীবীদের নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভায় নতুন করে নির্বাচন তপশীল ঘোষণার জন্য অ্যাড. আব্দুর রউফকে (১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদত্যাগকারি আট সদস্যের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অপর চার সহযোগি নির্বাচন কমিশনারের নাম উল্লেখ করে আগামি ১৬ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে দেন। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি সভাপতির প্রাক্টিসের মেয়াদ ২০, সাধারণ সম্পাদকের ১৫ , সাধারণ সদস্যদের তিন বছর ও বাকি ছয়টি পদের জন্য ১০ বছর করে বয়স নির্ধারণ করে দেন। সে অনুযায়ি গত ২৩ ফেব্রæয়ারি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র কেনেন। মনোনয়ন জমা ও যাঁচাই বাছাই এর জন্য ২৬ ফেব্রæয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়। ২৮ ফেব্রæয়ারি ছিল আপিল করার দিন। তবে সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই সভাপতির স¦াক্ষরে নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়। মনোয়নপত্র যাঁচাই বাছাই এর সময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাক অ্যাড. আকবর আলীর প্রাক্টিসের মেয়াদ ১০ বছর ও সদস্য পদে অ্যাড. রফিকুল ইসলামের প্রাক্টিসের মেয়াদ তিন বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। অ্যাড. নুরুল আমিন জানান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের প্রাক্টিসের মেয়াদ নতুন ও পুরাতন গঠণতন্ত্রে নির্ধারিত থাকলেও পুরাতন ও নতুন গঠণতন্ত্র অনুযায়ি ১২ ফেব্রæয়ারির ২০ জন জ্যেষ্ট আইনজীবীর আলোচনা সভার রেজুলেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাক্টিসের মেয়াদ নির্ধারণ করা হলেও অন্য কোন পদে তা নির্ধারণ করা হয়নি। তা’ ছাড়া ১৬ মার্চের নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তে সভাপতির স¦াক্ষর থাকলেও সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষর নেই। যা’ গঠণতন্ত্র বিরোধী। এ ছাড়া ১২ ফেব্রæয়ারির সিদ্ধান্ত না মেনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. আব্দুর রউফ ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রতিটি পদের নির্বাচনে নিয়মবহির্ভুতভাবে প্রাক্টিসের বয়সসীমা বেঁধে দিয়েছেন। ফলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাড. আকবর আলী ও সদস্য পদে অ্যাড. রফিকুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যা’ সাধারণ আইনজীবীদের জন্য অশনি সংকেত।
অ্যাড. নুরুল আমিন আরো বলেন, জ্যেষ্ট আইনজীবীদের হঠকারি সিদ্ধান্তের হাত থেকে সাধারণ আইনজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদের একক সাক্ষরে নির্বাচন কমিশন ঘোষণার বিরুদ্ধে তিনি মঙ্গলবার সদর সহকারি জজ আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. আব্দুর রউফ (১), সহকারি কমিশনার অ্যাডঃ শ্রী তারক কুমার মিত্র, অ্যাডঃ মোঃ জহুরুল হক, অ্যাডঃ আনিসুর কাদির ময়না ও অ্যাডঃ লাকী ইয়াছমিনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় ( ৩৯/১৭) আগামি ১৬ মার্চের নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। বিচাররক এমএ সাঈদ বুধবার শুনানী শেষে আগামি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন।#

এস.কে কামরুল হাসান
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি।
০১৭২৯৫৭৭৪১৬
তাং ০২.০৩.১৭




Wednesday, March 1, 2017

কলারোয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়ে ৭০ হাজার টাকার মালামাল ভস্মিভুত !


এস.কে কামরুল হাসান: গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কলারোয়ার ছলিমপুর বাজারের চায়ের দোকান থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত সৃষ্টি হয়ে ২টি দোকানসহ দোকানের মালামাল আগুনের পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে কলারোয়ার খোরদো সড়কের  ছলিমপুর বাজারে। স্থানীয় বাজারের দোকানদার জানান যে হঠাৎ আগুনের  শিখা চারিদিকে আলোকিত হলে  গ্রামবাসীরা জানতে পারে যে বাজারে আগুন লেগেছে।  এ অগ্নিকান্ডে দোকানের প্রোঃ মনির সরদার ও ইজ্জতউল্লাহ শেখের ২ টি দোকানে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তাদের উভয়ের ৭০ হাজার টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।এদের মধ্যে মনির হল একজন সাইকেল মেকার ও  সাইকেল পার্টসের দোকান ও ইজ্জতউল্লাহ হল চায়ের দোকানের মালিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বাজারের গ্রামের মনির সরদার সাইকেলের দোকানের মালামালসহ ও ইজ্জতউল্লাহ শেখের চায়ের দোকানের পণ্যসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র  পুড়ে ছাই হয় দোকান ২ টি। তাদের পরিবার যখন গভীর ঘুমে মগ্ন তখন আকষ্মিক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়ে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে।
ভোরবেলায় মানুষের চোখে এটা দৃষ্টিগোচর হয়। ক্ষতিগ্রস্থ মনির সরদার ও ইজ্জতউল্লাহ শেখ সহ তাদের পরিবার এখন হতাশাগ্রস্থ।

এস.কে কামরুল হাসান
০১৭২৯৫৭৭৪১৬
০১.০৩.১৭




কলারোয়ায় জমে উঠেছে উপ-নির্বাচনে ভাইসচেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর লড়াই!




 এস.কে কামরুল হাসানঃ কলারোয়ায় উপজেলা বাকি মাত্র ৪দিন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া মিলছে। আগামী ৬ই মার্চ সোমবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ আর আনন্দ। এক কথায় উপ-নির্বাচন জমে উঠেছে। আর এই নির্বাচন ঘিরে দুই প্রার্থীরা দিনভর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচনী পথসভা ও মতবিনিময় সভায় দেখা যাচ্ছে তাদেরকে। উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের টাঙ্গানো পোষ্টার আর ব্যানারে। সরে জমিনে ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে এলাহী কান্ড নির্বাচন নিয়ে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দিচ্ছে আশার বানী। দুপুরের পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাইকে প্রচার প্রচারনায় মুখোরিত বিভিন্ন ওয়ার্ড। সার্বক্ষনিক প্রার্থীরা ব্যস্থ সময় পার করছেন ভোটারদের কাছে গিয়ে। ভোটারদের নিকট প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন এবং নিজ প্রতীকে তাদের ভোট প্রার্থনা করছেন। থেমে নেই প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজন ও কর্মী সমর্থকরা। উপজেলার ৬৭টি ওয়ার্ডে ১লাখ ৮২ হাজার ২শ’ত ২৯জন ভোটারদের মধ্যে কে হবেন উপজেলার সৌভাগ্যবান ভাইস চেয়ারম্যান সেটাই এখন জনমনে আলোচিত। জয় পরাজয় থাকবেই তবুও বসে নেই কেউ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সবারই মনে। উপজেলাবাসীর মন জয় করতে রাত দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী। তারা হল আওয়ামীলীগ দলিয় মনোনিত প্রার্র্থী জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা। কলারোয়া উপজেলার ২০দলীয় জোটের ভোটার সংখ্যা বেশী। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন প্রচার-প্রচারণায় সবার শীর্ষ। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পর থেকে র্দীঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন এলাকার মানুষের সুখ দুখের সাথী হয়ে। প্রার্থী হিসেবে সর্বমহলের কমবেশী ভোট পাবেন, খুবিই যোগ্য, ধর্মভিরু, সৎ মানুষ। এবার নির্বাচনে কোমর বেধে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় তরুনদেরকে প্রাধ্যান্য দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। এদিকে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী শাহাজাদা। এছাড়া গ্রহনযোগ্যতা কোন অংশে কম নয় সব দিক দিয়ে ফিটেষ্ট। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে ভালভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে। সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগ এবার শক্ত অবস্থানে। কাজী শাহাজাদা দলীয় সর্মথন না পেয়ে যুবলীগ একাংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরাসারি কাজ করতে দেখা গেছে। তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার পরেও থেমে নেই প্রচার-প্রচারনায় সবার আগে সব খানেয় ভোট চাচ্ছেন। বিশেষ করে তরুনদের কাছে প্রতিনিয়ত শুনাচ্ছে আশার বানী এবং উপজেলাকে তিনি ফাটাকেষ্ট হিসেবে দূনীতি মুক্ত করতে চান। নিবার্চন কমিশন সুত্রে জানা যায় উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে  ১ লাখ ৮২হাজার ২শ’ত ২৯জন মত ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮৯হাজার ৭’শ ৯৬ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯২হাজার ৪’শ ৩৩ জন । দলিয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, গত পৌর নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে তিনি আজও পর্যন্ত এলাকার মানুষের সুঃখে-দুঃখে পাশে আছেন এবং থাকবেন। কলারোয়া উপজেলার মানুষ অবহেলিত। তাই এ অবহেলিত উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্চ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। আর ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটের মাঠে গিয়ে নিরপেক্ষভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারলে তিনি জয়ী হবেন। এ ছাড়া অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে তার কর্মীদের বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর লোকজন হুমকি-ধামকী দিচ্ছে। পোষ্টার, লিপলেট ছেড়াসহ কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মিথ্য অপ-প্রচার চালাচ্ছে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর লোকজন। যা তার ভোটারদের মনে আতংক কাজ করছে। আমি মিথ্য অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্র্চ সুস্থ নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী যুুবলীগ সভাপতি কাজী শাহাজাদা বলেন, কলারোয়া উপজেলার অনেক এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সুপীয় পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধ থাকে। এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি ঢোকার মত কোন রাস্তা ভাল নেই। উপজেলাকে তিনি মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিতে চান। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ই মার্চ সুস্থ নির্বাচনে তাকে উড়োজাহাজ মার্র্কায় ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনি আশাবাদী।

এস.কে কামরুল হাসান
জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা।
০১৭২৯৫৭৭৪১৬
০১.০৩.১৭

ব্রেকিং নিউজঃ

 সাতক্ষীরার দেবহাটা নোড়ার চকে অবৈধ ডিসিআর বাতিল ও ভুমিদস্যূ জিপি গাজী লুৎফর এর অপসারনের দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে  মানব বন্ধন।