এস.কে কামরুল হাসান, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা শহর এখন মানুষের চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে ইঠেছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা। ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের পর থেকেই সাতক্ষীরা প্রধান সড়কগুলোর কোন কাজ হয়নি এবং তেমন কোন উন্নয়নের ছোয়াও লাগেনি। তারই একটি প্রামান্য চিত্র শহরের প্রধান সড়ক। সাতক্ষীরার সড়কগুলো কোন রকম জোড়া তালি দিয়েই দায় সারার মত কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বর্তমান সড়কগুলো চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ও মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে। যে কো সময়েই ঝরে যেতে পারে তাজা প্রান। অনিশ্চয়তা জেনেও জীবনের ঝুকি নিয়ে জীবন ধারনের তাগিদে রাস্তায় চলাচল করছেন সাতক্ষীরার অসহায় কর্মজীবী মানুষ। ভাংড়ি রাস্তায় দুইদিন আগেও অতিরিক্ত ধুলোর কারনে চলাচল ছিলো দূর্বীসহ। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই পাল্টে গেলো সাতক্ষীরার রাস্তাঘাটের চিত্র। ধুলোর আর কাদার শহরে অভিভাবকহীন নারকীয় জীবনযাপন করছেন সাতক্ষীরা বাসি। শহরের রাস্তঘাটের বেহাল দশাই এর জন্য দায়ী করেছেন জেলার হাইব্রিড নেতা ও প্রশাসনের কিছু উর্দ্ধর্তন কর্মকর্তাদের। সাতক্ষীরার সাধারন মানুষের প্রশ্ন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ও সাতক্ষরীরা বাইপাস সড়কের প্রতি¯্রুতি অনুযায়ী আমরা আশাবাদি হলেও বছরের পর বছর চলে গেলেও বাইপাস সড়কের কোন দেখা নেই, নেই কোন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। এজন্যই বেশির ভাগে দ¦ায়ী করেছেন সাতক্ষীরা জেলার কিছু দূর্ণীতিবাজ নেতাদেরকে। কারন, নেতাদের ভাগ্যের পরিবর্তন এসেছে কিন্তু পরিবর্তন আসেনি সাধারন মানুষের ভাগ্যের। শহরের প্রায় সবগুলো রা¯তার পিচ উঠে যাওয়ার কারনেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সড়কের সংস্কার না হওয়ায় শহরবাসীর দূর্ভোগের অন্ত নেই। সড়কের পিচ উঠে নিচের মাটি পর্যন্ত বেরিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দ। শহরের সার্কিট হাউজ মোড় থেকে বাঁকাল বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য বলে মনে করেন ভুক্তভোগী পথচারিরা। সড়ক দূর্ঘটনা সাতক্ষীরার রাস্তায় একটি অহরহ ঘটনা হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে। সাতক্সীরার স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় এ খবর ছাপালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন রাস্তা আরও খুড়ে যবু থবু করে আদলা (১/২) ইট দিয়ে সেই গর্ত ভরাট করে চলে যায়। বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের রাস্তায় বাস ট্রাক তো দূরের কথা হেটে চলাচল করাও চরম বিপদজনক হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ২য় বৃহৎ স্থল বন্দর ভোমরা স্থল স্থল বন্দর এই সাতক্ষীরাতেই অবস্থিত। সরকারী রাজস্বে সাতক্ষীরা অগ্রনী ভুমিকা পালন করলেও কারও দৃষ্টি নেই সাতক্ষীরা শহরের প্রতি। স্বরেজমিনে আরও দেখা যায় সাতক্ষীরা পৌর এলাকা সহ সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। অত্যন্ত লাজুক এই পরিস্থিতির মধ্যে অসহায় দূর্বীসহ জীবন যাপন করছে সাতক্ষীরা বাসি। ধূলাবালি আর ময়লার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। বিশেষ করে যারা হাফানী ও এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত তাদের বাইরে বের হওয়ার উপাই নেই । ফলে লাভবান হচ্ছে ডাক্তার আর ঠিকাদার অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ। রাস্তার ছাল চামড়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারন পথচারিরা ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, বড় বড় মাপের নেতারা তো পাজেরু জীপে চড়ে তারা রাস্তা খারাপ কি ভালো কিভাবে বুঝবেন। নির্বাচনের আগে ভোট চাওয়ার উদ্দেশ্যে ও রাস্তার কোথায় কি অবস্থায় আছে তা থেকে বড় কোন বাজেট ধরে নিজের আখের গোছানো যায় কি না সেই পরিকল্পনা আটতেই রাস্তায় নামেন সাতক্ষীরার বড় মাপের নেতারা। ধূলায় অন্ধকার হয়ে যায় যখন কোন বাস, ট্রাক রাস্তায় চলাচল করে। ধূলায় যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন, তখন ্দুইহাত দূরের কিছইু দেখা যায়না। যখন ভোমরা থেকে পন্য বোঝাই ট্রাকগুলো চলাচল করে তখন রাস্তার এক সাইডে নিরাপদ স্থানে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয় ভয়ে। নাহয় কখন ঘাড়ের উপরে পড়ে ঐ পন্য বোঝাই ট্রাক। ডানে বায়ে দোল খেতে খেতে চলে বাস-ট্রাকগুলো। দেখলে মনে হয় এই বুঝি ঘটে গেলো আরও একটি দূর্ঘটনা। অভিভাবকরা সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্কুলে পাঠাতে পারেননা। সন্তানরা স্কুলে গেলে মা-বাবাদের চিন্তার সীমা থাকে না। শহরের রাস্তাঘাটের এই দশার জন্য পথচারীরা দ্বায়ী করেন সড়ক বিভাগের উর্দ্ধর্তন কর্মকর্তা, কর্মচারি, ঠিকাদার, নেতা ও কিছু হলুদ সাংবাদিকদের। তাদের অপকর্মের কারনেই নতুন রাস্তা তৈরির কয়েক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে সাতক্ষীরা শহরের রাস্তাঘাটগুলো।
এস.কে কামরুল হাসান
জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা।
০১৭২৯৫৭৭৪১৬
১১.০৩.১৭
No comments:
Post a Comment